সর্বশেষ খবর:
পাথরঘাটা মুরগি বিক্রি বন্ধ জামালপুরে ট্রেনে কাটা পরে গৃহবধূর মৃত্যু বলিউড অভিনেতা বরুণ ধাওয়ানের জন্মদিন আজ স্বপ্নের সোনালী ফসলে সেঁজেছে মাঠ, হাসি কৃষকের মুখে সুন্দরগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে বোরধানের ক্ষতি নড়াইলে বিএনপির দু’গ্রুপে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী কুখ্যাত ডাকাত শাহীন ও জুয়েল গ্রেফতার বাবার কোলে শিশু হত্যার মূল আসামি সহ গ্রেফতার ৫ ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সমর্থনে সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গ আজ আওয়ামী যন্ত্রে পরিণত হয়েছে : ডা.শাহাদাত হোসেন প্রতিপক্ষের হামলায় বাবা-মা-ছেলে আহত গুরুদাসপুরে মাদকব্যবসার জের ধরে হত্যা, ২জন আটক উল্লাপাড়ায় বাসচাপায় অটোরিকশা যাত্রী নিহত ১ জবিতে র‍্যাগিং প্রমাণিত হলে ছাত্রত্ব বাতিল কোম্পানীগঞ্জ মুছাপুরে ভোগ দখলে আশ্রয় কেন্দ্র ইটভাটায় পুড়িয়ে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন, ২ জন পলাতক ইটভাটা চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা, ৫ জনের যাবজ্জীবন ৫’শ টাকার জন্য রাজু কে হত্যা দায়িত্বরত ট্রাফিক, টহল পুলিশদের ইফতার পাঠালেন মাশরাফী সাভারে খেলার মাঠে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

তুলা চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে ছাত্র ও কৃষকদের!

স্টাফ রিপোর্টার, গোমস্তাপুর

৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ৩ years আগে, : 0

তুলা চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে ছাত্র ও কৃষকদের!
বরেন্দ্র অঞ্চলের উঁচু জমিগুলোতে সেচসংকট। তাই ধান ও সবজি চাষের প্রবণতা কমে গেছে। সে জমিগুলোতে এখন তুলা চাষে আগ্রহ তৈরি হয়েছে কৃষকদের মাঝে। কম সেচ ও বৃষ্টির পানিতে কাজ হওয়ায় তুলা চাষের দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই‌।

তুলার ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। বিগত চার পাঁচ বছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের বরেন্দ্র অঞ্চলে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের তালিকাভুক্ত ৫০ জন চাষি প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে তুলার চাষ করছেন।

উপজেলার বড়দাদপুর গ্রামের মোতাহার হোসেন (রাসেল) এক বছর থেকে ১৭ বিঘা জমিতে তুলার চাষ করছেন। তিনি জানিয়েছেন, গত বছর থেকে প্রথম তুলা চাষ করছেন। এবার তিনি সব মিলিয়ে ৬লাখ টাকার তুলা বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। করোনার কারণে ঢাকাতে চাকরি ছেড়ে বাড়িতে এসে তিনি পাশের চাষীদের দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে তুলা চাষের সিদ্ধান্ত নেন। গত বছর তুলার দাম ছিল ২ হাজার ৭০০ টাকা মণ। এ বছর তুলার দাম প্রতি মণ ৩ হাজার ৪০০ টাকা।

তিনি আরো জানান, একটি কোম্পানির চাকরি ছেড়ে নিজ গ্রাম উপজেলার বড়দাদপুরে ফিরেছেন। শহুরে জীবন ছেড়ে প্রকৃতির মধ্যে থাকতে চেয়েছেন। বাড়ি ফিরে কাজের অংশ হিসেবে গড়ে তুলেছেন নার্সারি ও আমের বাগান। বর্তমানে তিনি ১৭ বিঘা জমিতে আমের চাষ করছেন। পাশাপাশি একই জমিতে চাষ করছেন তুলার। অন্যদের দেখে উৎসাহিত হয়ে তিনি তুলার চাষে ঝুঁকেছেন।

আলাপকালে তুলাচাষী মওদুদ আহমেদ (হিমেল) জানান, বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির স্তর দিনে দিনে নিচে নামছে। সেচের পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। যেখানে একবার অথবা কোনো সেচ না দিয়েই তুলা চাষ হচ্ছে। এ কারণে তিনি এতে আকৃষ্ট হয়েছেন। বড়দাদপুর গ্রামে হিমেলের মতো তুলা চাষে ঝুঁকেছেন অনেকেই।

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের গোমস্তাপুর ইউনিটের কর্মকর্তা মুর্শেদ আলী জানান, উপজেলার ৫০ জন চাষি তুলা চাষের সঙ্গে জড়িত। তুলা উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক চাষীদের প্রদর্শনী দেয়া হয়। তাছাড়া আমি তুলার রোগ বালাই পর্যবেক্ষেণ করে চাষীদের পরামর্শ দিয়ে থাকি। অল্প টাকা বিনিয়োগ করে তুলা চাষ করে লাভবান হওয়া যায়। বাজারজাতকরণেও তেমন কোন ঝামেলা নেই।

পত্রিকা একাত্তর/ ইয়াহিয়া খান রুবেল