সর্বশেষ খবর:
পাথরঘাটা মুরগি বিক্রি বন্ধ জামালপুরে ট্রেনে কাটা পরে গৃহবধূর মৃত্যু বলিউড অভিনেতা বরুণ ধাওয়ানের জন্মদিন আজ স্বপ্নের সোনালী ফসলে সেঁজেছে মাঠ, হাসি কৃষকের মুখে সুন্দরগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে বোরধানের ক্ষতি নড়াইলে বিএনপির দু’গ্রুপে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী কুখ্যাত ডাকাত শাহীন ও জুয়েল গ্রেফতার বাবার কোলে শিশু হত্যার মূল আসামি সহ গ্রেফতার ৫ ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সমর্থনে সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গ আজ আওয়ামী যন্ত্রে পরিণত হয়েছে : ডা.শাহাদাত হোসেন প্রতিপক্ষের হামলায় বাবা-মা-ছেলে আহত গুরুদাসপুরে মাদকব্যবসার জের ধরে হত্যা, ২জন আটক উল্লাপাড়ায় বাসচাপায় অটোরিকশা যাত্রী নিহত ১ জবিতে র‍্যাগিং প্রমাণিত হলে ছাত্রত্ব বাতিল কোম্পানীগঞ্জ মুছাপুরে ভোগ দখলে আশ্রয় কেন্দ্র ইটভাটায় পুড়িয়ে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন, ২ জন পলাতক ইটভাটা চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা, ৫ জনের যাবজ্জীবন ৫’শ টাকার জন্য রাজু কে হত্যা দায়িত্বরত ট্রাফিক, টহল পুলিশদের ইফতার পাঠালেন মাশরাফী সাভারে খেলার মাঠে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

সোহরাওয়ার্দী কলেজের গর্ব ’মুক্তির সনদ’

সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রতিনিধি

৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ৩ years আগে, : 0

সোহরাওয়ার্দী কলেজের গর্ব ’মুক্তির সনদ’
রাজধানী পুরান ঢাকার লক্ষীবাজারে অবস্থিত সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ। ১৯৪৯ সালের ১১ই নভেম্বর কায়েদ-ই-আজম নামে কলেজটির কার্যক্রম শুরু হয়। স্বাধীনতার পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে কলেজটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ। ১৯৮৪ সালের ১লা নভেম্বর কলেজটিকে সরকারি কলেজে পরিণত হলে এর নামকরণ করা হয় ''সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ''।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাত কলেজটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়, সেখানে স্থান পায় সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ।

ঐতিহ্যবাহী এ কলেজেই প্রতিষ্ঠিত ছয় দফার উপর নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম ভাস্কর্য ''মুক্তির সনদ''। এ ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি। ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করা হয় ২৪শে মার্চ ২০২০ (১০ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ)। 

পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে পূর্ব পাকিস্তানের উপর পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর অব্যাহত বৈষম্য ও শোষণনীতি চলতেই থাকে। যার প্রেক্ষিতে ১৯৬৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর একটি জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই “ছয় দফা দাবি” পেশ করেন।

ছয় দফা দাবির মূল উদ্দেশ্য- পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেল রাষ্ট্র, ছয় দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে এই ফেডারেল রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। ছয়দফা কর্মসূচীর ভিত্তি ছিল ১৯৪০ সালের ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব। পরবর্তীকালে এই ৬ দফা দাবিকে কেন্দ্র করে বাঙালি জাতির স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন জোরদার হয়। যার ফলশ্রুতিতে আমরা পাই আমাদের লাল-সবুজের বাংলাদেশ। এই আন্দোলন এতোই গুরুত্বপূর্ণ যে একে ম্যাগনাকার্টা (Magna Carta) বা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদও বলা হয়। 

মূলত এই ছয় দফার প্রতিটি দাবিগুলোর গুরুত্ব সকলের নিকট উপস্থাপন করাই ছিল ভাস্কর্য মুক্তির সনদ প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য। এই দাবিগুলোই যে পরবর্তীতে জন্ম দিয়েছিল একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের, তরুণ প্রজন্মনের নিকট তা ফুটিয়ে তুলতেই ছিল এ আয়োজন। 

পত্রিকা একাত্তর/ অপূর্ব চক্রবর্তী