সর্বশেষ খবর:
পাথরঘাটা মুরগি বিক্রি বন্ধ জামালপুরে ট্রেনে কাটা পরে গৃহবধূর মৃত্যু বলিউড অভিনেতা বরুণ ধাওয়ানের জন্মদিন আজ স্বপ্নের সোনালী ফসলে সেঁজেছে মাঠ, হাসি কৃষকের মুখে সুন্দরগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে বোরধানের ক্ষতি আধা মণ পেঁয়াজে একটি তরমুজ নড়াইলে বিএনপির দু’গ্রুপে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী কুখ্যাত ডাকাত শাহীন ও জুয়েল গ্রেফতার বাবার কোলে শিশু হত্যার মূল আসামি সহ গ্রেফতার ৫ রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গ আজ আওয়ামী যন্ত্রে পরিণত হয়েছে : ডা.শাহাদাত হোসেন কোম্পানীগঞ্জ মুছাপুরে ভোগ দখলে আশ্রয় কেন্দ্র বাবা আ.লীগ নেতা, ছেলে ছাত্রদল সভাপতি প‌হেলা বৈশা‌খে ইলিশ‌কে ‘না’ ব‌লি ঈদের খুশি ছড়িয়ে দিয়ে মহসিনা মায়ার ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ নড়াইলে প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ১০ লাখ মুসল্লি নিয়ে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত দিনাজপুরে বাংলাদেশের সম্পদ মিলছে ভারতের সরকারি হাসপাতালে মনুষত্বের অবক্ষয় কবিতা: বছর শেষে বীরের কথা

বাতাসে ফুটন্ত ফুলের দোলে, রঙ লেগেছে ফুলচাষি শিশিরের মনে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২২ জানুয়ারী, ২০২২, ৩ বছর আগে, : 0

বাতাসে ফুটন্ত ফুলের দোলে, রঙ লেগেছে ফুলচাষি শিশিরের মনে
ছিবিটি ক্যামেরাবন্দি করেছেন রাব্বুল হুসাইন
ঝিনাইদহের হরিনাকুণ্ডু উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের দুবল-কুড়ির বিলে বাহারি রকমের ফুলের চাষ করে সাবলম্বী হয়েছেন ফুল চাষি শিশির। ফুল চাষে সাফল্য দেখে উৎসাহ বাড়তে থাকে তার। সেই থেকে ফুল চাষের পরিকল্পনা নেন তিনি। ছোট বেলা থেকে ফুলের প্রতি ছিলো তার অদম্য ভালবাসা।
আকাবাকা মেঠপথ, চারিদিকে সবুজের হাতছানি। দৃষ্টিসীমার পুরোটা জুড়েই যেন সবুজের সমারোহ। আর পাশের দিগন্ত-বিস্তৃত মাঠে ফুলের সমারোহ যেন স্বর্গীয় সৌন্দর্য নিয়ে এসেছে দুবল-কুড়ির বিল, গড়ে ওঠা এসব বাগানে রয়েছে দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির ফুল। বাহারি রং আর সুগন্ধে ভরপুর ফুলের বাগান। ৪৬ শতক জমিতে রয়েছে রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা ও চায়না গোলাপ ফুলের সুবাসে প্রতিনিয়তই ছড়াচ্ছে।


জানা গেছে, রজনীগন্ধা,গোলাপ ফুল,চন্দ্র মল্লিকা ফুল ও চায়না গোলাপের চাষ করে গত বছরে ৯০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেছেন তিনি। তবে বাজার যদি স্বাভাবিক থাকে তাহলে অনায়াসে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব বলে আশা করেন ফুল চাষি শিশির। 

হরিনাকুণ্ডু উপজেলার ৪ নং দৌলতপুর ইউনিয়নের কাঁদিখালী (রামচন্দ্রপুর) গ্রামের ফুল চাষি শিশির আহামেদ পত্রিকা৭১ প্রতিনিধিকে জানানা,
গত ২০১৮ সালে দুবলো-কুড়ির বিলের ধারে ৪৬ শতক জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে ফুল চাষ করি। প্রাথমিক ভাবে লক্ষাধিক টাকা খরচ হলেও প্রর্থম বছরেই ৯০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় মহামারী মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসে প্রায় ১ লক্ষ টাকা লোকসান শুনতে হয়েছে। তারপর ও থেমে থাকেন-নি তরুণ এই উদভাবনীর স্বপ্ন। দুবলো-কুড়ির বিলে অধিকাংশ জমিতে ধান চাষ করতেন । কিন্তু ফুল চাষে অধিক লাভজনক হওয়ায় ধানের চাষের পরিবর্তে ফুল চাষের দিকে ঝুঁকছেন তিনি।

তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে আরও কিছু জমিতে এই চাষ বাড়ানো হবে। সরকারি সহায়তা পেলে আগামীতে এই ফুল চাষ বৃহত্তর পরিসরে করতে চাই।
আমি এই ফুল অত্র অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে জেলা শহর-সহ অন্যান্য অঞ্চলেও বানিজ্যিক ভাবে পাঠিয়ে থাকি। খুলনা অঞ্চলের রাজারহাট কোয়াদা থেকে চারা এনে ফুল লাগানোর প্রথম বছরেই ফুল বিক্রি করতে পারি। এবং ফুল চাষ বেলে দোআঁশ মাটিতে অল্প পরিচর্যা আর অল্প খরচে ফুলের চাষ হচ্ছে। শুকনা মৌসুম হচ্ছে ফুল চাষের একটি ফুল মৌসুম।




আমাদের এলাকায় মাটি ভালো তাই তেমন কোন ক্ষতি হয় না। চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, হরিনাকুণ্ডু, মাগুরাসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসে ব্যবসায়ীরা ফুল নিয়ে যায়, ১০০টি ১০০-১৫০ টাকা,রজনীগন্ধ ১০০টি ৯০-১২০ টাকা, গাঁদা এক হাজার ৩৫০-৪৫০ টাকা। সারা বছরই ফুল বিক্রি হলেও বিশেষ দিন বিশ্ব ভালবাসা,পহেলা বৈশাখ, ইংরেজি নববর্ষ, ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ ১৬ ডিসেম্বর ফুলের চাহিদা বেশি থাকায় দামও বৃদ্ধি পায়। তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১০ সালে ঝিনাইদহ জেলার শিশুকুঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজে থেকে।

এস এস,সি পাশ করে। ২০১২ সালে এইচ এসসি ও সরকারি লালন শাহ্ কলেজে অনার্স রাষ্ট্র ভর্তি হলেও সাংসারিক চাপে বেশিদিন টিকতে পারিনি। আটকে গেল বৈবাহিক জীবনে। আর হলো না শিক্ষা। তাই বলে কি থেমে যাবে স্বপ্ন..? আগামী-দিনের পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে চান তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দা রাব্বুল হাসান জানান হরিনাকুণ্ডু উপজেলার দুবল-কু্ড়ির বিলে ফুল চাষের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। আগে শহর থেকে ফুল আনতেই শুকিয়ে যেত, খরচও বেশি পড়ত। এখন নিজ জমিতে পাচ্ছেন। শহর থেকে কেনার তুলনায় লাভও বেশি হচ্ছে। পাশাপাশি কম দামে তাজা ফুল পাচ্ছেন ক্রেতারা।

হরিনাকুণ্ডু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাফিজ হাসান জানান, এ উপজেলায় ফুল চাষের ব্যাপক সম্ভাবণা আছে। মটি ও জলবায়ু ফুল চাষের জন্য উপযোগী। বিলের পাশে ফুল চাষ করা হচ্ছে শুনেছি। এখনো তেমন কোন সহযোগীতা করা হয় নাই।গান্না ফুল চাষি সমিতির সাথে দুই দিন কথা হয়েছে।
তারা বলেছে হরিনাকুণ্ডু থেকে কোন কৃষক চাষে এগিয়ে আসলে বাজারজাত করার বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। সেই সাথে কৃষি অফিস কৃষকের মার্কেট লিংকেজ তৈরি করা সহ বিশেষ করে চাষের সময় যে কোনো রকমের সহযোগিতা করতে কৃষকের পাশে থাকবে। তিনি আরও বলেন, এই মূহুর্তে আমাদের কোন প্রকল্প নেই ফুল চাষের বিষয়ে। তবে বেশ কয়েকটি কৃষক আগ্রহী থাকলে, পরবর্তীতে আমরা প্রস্তাব পাঠাতে পারবো। এবং আশা করি কৃষক আগ্রহী থাকলে, আগামী বছর আমরা সহকারী কোনো সহযোগিতা পেতে পারি।
পত্রিকা একাত্তর/ রাব্বুল হুসাইন