বাগেরহাটের মোল্লাহাটে অসময়ে মধুমতি নদীতে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। হঠাৎ তীব্র ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে মোল্লাহাট উদয়পুর ইউনিয়ন এর গাড়ফা বাজার সংলগ্ন এলাকা ও বসতবাড়ি। কিছুদিন হলো এ তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে পাকা সড়ক ও বসতবাড়ি। আরও হুমকিতে রয়েছে কয়েকশ দোকানপাট।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মোল্লাহাট বাজারের পুরাতন ফেরীঘাট এর পশ্চিম পাশে মধুমতি নদী তীরবর্তী পাকারাস্তা সহ বেশ খানিকটা এলাকা ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তীব্র হুমকিতে রয়েছে দোকান পাট ও মিল কারখানা। এসময় এলাকাবাসী প্রচেষ্টা চালাচ্ছে আশপাঁশে কোনরকমভাবে বাঁশ/কাঠ দিয়ে ভাঙ্গন রক্ষায়। কিন্তু তাতে শেষরক্ষা হচ্ছেনা।  দ্রুত এই নদী ভাঙ্গন ঠেকানো না গেলে হয়তো মোল্লাহাট বাজারের অস্তিত্ব আর খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়বে!।  অব্যাহত ভাঙনের ফলে মধুমতি নদীর গাড়ফা, গিরিশ নগর, ও আস্তাইল এলাকার অন্তত ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার তীর প্রবল ভাঙ্গন ঝুকিতে রয়েছে।
গাড়ফা এলাকার মর্জিনা বেগম জানান, আমাদের বাড়ির সামনের পাঁকা রাস্তা ভেঙ্গে মধুমতি নদীতে চলে যাচ্ছে। গত কয়েকদিন যাবত ভাঙ্গন বেশী দেখা দিয়েছে। এভাবে রাত-দিন ভাংতে থাকলে আমাদের ঘরবাড়ি সব মধুমতি নদীতে বিলিন হয়ে যাবে। দ্রুত ভাঙ্গন রোধে ব্যাবস্থা নেওয়া এবং স্থায়ী বাঁধ নির্মান এর পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে তিনি।
একই এলাকার সিয়াম জানান, মধুমতি নদী ভাঙ্গন আতঙ্কে রাতে ঘুম হয়না সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় থাকি এই বুঝি বাড়ি ঘর সব নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেল। একটু একটু করে ভাংতে ভাংতে পাঁকা রাস্তাসহ গাছপালা নদী গর্ভে চলে গেছে। এখন যেকোন সময় আমাদের বাড়িঘরসহ আশ পাশের বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে। 
উদয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান এসকে হায়দার মামুন জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত মধুমতি নদীতে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়ভাবে আমরা কাঠ/বাঁশ দিয়ে ভাঙ্গন মোকাবেলায় প্রচেষ্টা চালিয়েছি, তাও ভেঙ্গে নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। এভাবে ভাংতে থাকলে মোল্লাহাট শহর রাক্ষাবাঁধ, গিরিশ নগর, ও আস্তাইল এলাকার বসত-বাড়ি ও রাস্তাঘাট নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। তাই ভাঙ্গন রোধে তিনি দ্রুত  নদী শাসন ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের দাবি জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের  উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস সরকার জানান, মধুমতি নদীর ৩ হাজার ৪০০ মিটার এলাকা ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।  ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। এখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ডিপিপি প্রস্তুত করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে, অনুমোদন পেলে খুব দ্রুত স্থায়ীভাবে নদী শাসন কাজ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওয়াহিদ হোসেন বলেন, মোল্লাহাটে মধুমতি নদীর ভাঙ্গনে বেশ কয়েকটি এলাকায় ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মানের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান তিনি।
পত্রিকা৭১/সৌরভ কুৃমার।">
সর্বশেষ খবর:
পাথরঘাটা মুরগি বিক্রি বন্ধ জামালপুরে ট্রেনে কাটা পরে গৃহবধূর মৃত্যু বলিউড অভিনেতা বরুণ ধাওয়ানের জন্মদিন আজ স্বপ্নের সোনালী ফসলে সেঁজেছে মাঠ, হাসি কৃষকের মুখে সুন্দরগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে বোরধানের ক্ষতি নড়াইলে বিএনপির দু’গ্রুপে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী কুখ্যাত ডাকাত শাহীন ও জুয়েল গ্রেফতার বাবার কোলে শিশু হত্যার মূল আসামি সহ গ্রেফতার ৫ ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সমর্থনে সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গ আজ আওয়ামী যন্ত্রে পরিণত হয়েছে : ডা.শাহাদাত হোসেন প্রতিপক্ষের হামলায় বাবা-মা-ছেলে আহত গুরুদাসপুরে মাদকব্যবসার জের ধরে হত্যা, ২জন আটক উল্লাপাড়ায় বাসচাপায় অটোরিকশা যাত্রী নিহত ১ জবিতে র‍্যাগিং প্রমাণিত হলে ছাত্রত্ব বাতিল কোম্পানীগঞ্জ মুছাপুরে ভোগ দখলে আশ্রয় কেন্দ্র ইটভাটায় পুড়িয়ে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন, ২ জন পলাতক ইটভাটা চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা, ৫ জনের যাবজ্জীবন ৫’শ টাকার জন্য রাজু কে হত্যা দায়িত্বরত ট্রাফিক, টহল পুলিশদের ইফতার পাঠালেন মাশরাফী সাভারে খেলার মাঠে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

মোল্লাহাটে মধুতি নদীতে তীব্র ভাঙ্গন, হুমকিতে সড়ক ও বসতবাড়ি

উপজেলা প্রতিনিধি | মোল্লাহাট, ফকিরহাট

উপজেলা প্রতিনিধি | মোল্লাহাট, ফকিরহাট

২০ জানুয়ারী, ২০২২, ৩ years আগে, : 0

মোল্লাহাটে মধুতি নদীতে তীব্র ভাঙ্গন, হুমকিতে সড়ক ও বসতবাড়ি
ফাইল ছবি | পত্রিকা একাত্তর
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে অসময়ে মধুমতি নদীতে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। হঠাৎ তীব্র ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে মোল্লাহাট উদয়পুর ইউনিয়ন এর গাড়ফা বাজার সংলগ্ন এলাকা ও বসতবাড়ি। কিছুদিন হলো এ তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে পাকা সড়ক ও বসতবাড়ি। আরও হুমকিতে রয়েছে কয়েকশ দোকানপাট।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মোল্লাহাট বাজারের পুরাতন ফেরীঘাট এর পশ্চিম পাশে মধুমতি নদী তীরবর্তী পাকারাস্তা সহ বেশ খানিকটা এলাকা ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তীব্র হুমকিতে রয়েছে দোকান পাট ও মিল কারখানা। এসময় এলাকাবাসী প্রচেষ্টা চালাচ্ছে আশপাঁশে কোনরকমভাবে বাঁশ/কাঠ দিয়ে ভাঙ্গন রক্ষায়। কিন্তু তাতে শেষরক্ষা হচ্ছেনা।  দ্রুত এই নদী ভাঙ্গন ঠেকানো না গেলে হয়তো মোল্লাহাট বাজারের অস্তিত্ব আর খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়বে!।  অব্যাহত ভাঙনের ফলে মধুমতি নদীর গাড়ফা, গিরিশ নগর, ও আস্তাইল এলাকার অন্তত ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার তীর প্রবল ভাঙ্গন ঝুকিতে রয়েছে।
গাড়ফা এলাকার মর্জিনা বেগম জানান, আমাদের বাড়ির সামনের পাঁকা রাস্তা ভেঙ্গে মধুমতি নদীতে চলে যাচ্ছে। গত কয়েকদিন যাবত ভাঙ্গন বেশী দেখা দিয়েছে। এভাবে রাত-দিন ভাংতে থাকলে আমাদের ঘরবাড়ি সব মধুমতি নদীতে বিলিন হয়ে যাবে। দ্রুত ভাঙ্গন রোধে ব্যাবস্থা নেওয়া এবং স্থায়ী বাঁধ নির্মান এর পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে তিনি।
একই এলাকার সিয়াম জানান, মধুমতি নদী ভাঙ্গন আতঙ্কে রাতে ঘুম হয়না সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় থাকি এই বুঝি বাড়ি ঘর সব নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেল। একটু একটু করে ভাংতে ভাংতে পাঁকা রাস্তাসহ গাছপালা নদী গর্ভে চলে গেছে। এখন যেকোন সময় আমাদের বাড়িঘরসহ আশ পাশের বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে। 
উদয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান এসকে হায়দার মামুন জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত মধুমতি নদীতে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়ভাবে আমরা কাঠ/বাঁশ দিয়ে ভাঙ্গন মোকাবেলায় প্রচেষ্টা চালিয়েছি, তাও ভেঙ্গে নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। এভাবে ভাংতে থাকলে মোল্লাহাট শহর রাক্ষাবাঁধ, গিরিশ নগর, ও আস্তাইল এলাকার বসত-বাড়ি ও রাস্তাঘাট নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। তাই ভাঙ্গন রোধে তিনি দ্রুত  নদী শাসন ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের দাবি জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের  উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস সরকার জানান, মধুমতি নদীর ৩ হাজার ৪০০ মিটার এলাকা ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।  ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। এখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ডিপিপি প্রস্তুত করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে, অনুমোদন পেলে খুব দ্রুত স্থায়ীভাবে নদী শাসন কাজ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওয়াহিদ হোসেন বলেন, মোল্লাহাটে মধুমতি নদীর ভাঙ্গনে বেশ কয়েকটি এলাকায় ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মানের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান তিনি।
পত্রিকা৭১/সৌরভ কুৃমার।