সর্বশেষ খবর:
পাথরঘাটা মুরগি বিক্রি বন্ধ জামালপুরে ট্রেনে কাটা পরে গৃহবধূর মৃত্যু বলিউড অভিনেতা বরুণ ধাওয়ানের জন্মদিন আজ স্বপ্নের সোনালী ফসলে সেঁজেছে মাঠ, হাসি কৃষকের মুখে সুন্দরগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে বোরধানের ক্ষতি নড়াইলে বিএনপির দু’গ্রুপে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী কুখ্যাত ডাকাত শাহীন ও জুয়েল গ্রেফতার বাবার কোলে শিশু হত্যার মূল আসামি সহ গ্রেফতার ৫ ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সমর্থনে সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গ আজ আওয়ামী যন্ত্রে পরিণত হয়েছে : ডা.শাহাদাত হোসেন প্রতিপক্ষের হামলায় বাবা-মা-ছেলে আহত গুরুদাসপুরে মাদকব্যবসার জের ধরে হত্যা, ২জন আটক উল্লাপাড়ায় বাসচাপায় অটোরিকশা যাত্রী নিহত ১ জবিতে র‍্যাগিং প্রমাণিত হলে ছাত্রত্ব বাতিল কোম্পানীগঞ্জ মুছাপুরে ভোগ দখলে আশ্রয় কেন্দ্র ইটভাটায় পুড়িয়ে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন, ২ জন পলাতক ইটভাটা চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা, ৫ জনের যাবজ্জীবন ৫’শ টাকার জন্য রাজু কে হত্যা দায়িত্বরত ট্রাফিক, টহল পুলিশদের ইফতার পাঠালেন মাশরাফী সাভারে খেলার মাঠে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

বগুড়া শেরপুরে বিলীনের পথে খেজুর গাছ ও সুস্বাদু খেজুরের রস

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

১৬ জানুয়ারী, ২০২২, ৩ years আগে, : 0

বগুড়া শেরপুরে বিলীনের পথে খেজুর গাছ ও সুস্বাদু খেজুরের রস
ফাইল ছবি | পত্রিকা একাত্তর

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় কালের পরিবর্তনে প্রায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ, সেই সাথে খেজুরের রস ও রস দিয়ে তৈরী শীতকালীন সু-স্বাধু খাবারও।

বর্তমানে খেজুরের রস পেতে হলে অপেক্ষা করতে হয়, যেন অন্য কোনো এলাকা থেকে বিক্রি করতে আসা খেজুর রস বিক্রেতাদের জন্য। কয়েক বছর আগে উপজেলার বিশালপুর, ভবানিপুর, সীমাবাড়ী, মির্জাপুর,সুঘাট, কুসুম্বি এবং গাড়ীদহ এলাকায় প্রচুর খেজুর গাছ ছিল, যা থেকে এই উপজেলার মানুষের খেজুর রসের চাহিদা মিটাত। তখন শীতের শুরু থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করার জন্য খেজুর গাছ কাটার ধুম পড়ে যেত। তবে বর্তমানে খেজুর গাছের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে কমে যাওয়ায় এই ঐতিহ্য দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। তারপরও গাছিরা এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করেন। শীত এলেই খেজুর গাছ খুঁজে বেড়ান গাছিরা। গ্রামের অনেক বাড়িতেই রাস্তার পাশে তাল ও খেজুরের গাছ ছিল। এরপর গাছ কেটে পুরো মৌসুমে খেজুরের রস সংগ্রহ করেন। এবং খেজুর গাছের রস দিয়ে গুর তৈরী করে হাট বাজারে বিক্রয় করতো চাষিরা।

শেরপুর উপজেলার তালপট্টি গ্রামের গাছি নজরুল বলেন, বর্তমানে যে হারে খেজুর গাছ হারিয়ে যাচ্ছে, তাতে এক সময় হয়তো আমাদের এলাকায় খেজুরের গাছ বিলীন হয়ে যাবে। বাড়তি জনসংখ্যার কারণে মানুষ এখন গাছ কেটে বসতবাড়ি তৈরি করছে শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের ঘোলাগাড়ী।

সাধুবাড়ী এলাকার এক গাছি জানান, খেজুরের রস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সু-স্বাধু খাবার তৈরী করা যেত এই শীতকালীন সময়ে। খেজুর গাছ ৫-৬ বছরের হলেই গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু করা যায়। কার্তিক মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত রস আহরণ করা হয়। তবে যত শীত বেশি পড়ে গাছ থেকে তত বেশি রস পড়ে। কিন্তু এখন রস পাব কোথায় ? গাছই তো নেই! কালের পরিবর্তনে এলাকা থেকে বিলীন হয়ে গেছে খেজুর গাছ। আগে উচু ভিটে, রাস্তার ধারে সারিবদ্ধভাবে খেজুর গাছ দেখা যেত এখন আর চোখে পড়ে না। কাঠ ব্যবসায়ীরা গাছগুলো কেটে দিয়েছে, ইটভাটায় উচু ভিটে কেটে মাটি নিয়ে যাওয়ায় আর কিছু গাছের জায়গা জুড়ে উঠেছে নতুন ঘর-বাড়ি। এভাবেই দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় দুই একটি গাছ আছে। সেই গাছের রস নিজে এবং আত্মীয় স্বজন খেতেই প্রায় শেষ হয়ে যায়। এখন সেই সুস্বাদু খেজুরের রস কেনার জন্য উপজেলার লোকজনদের খুঁজে বেড়াতে হয় রস বিক্রেতাদের। ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হলে পতিত জায়গায় ও রাস্তার ধারে খেজুর গাছ লাগানোর বিকল্প নেই বলে মনে করেন এলাকার সূধীজনরা। তাছাড়া বিলীন হয়ে যাবে খেজুরের রস। 

শেরপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মোসা. জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, আগে পতিত জমি ছিল। সেখানে অবহেলা ও অযত্নে খেজুর গাছ জন্মাত। গ্রামীণ রাস্তার পাশেও সারিবদ্ধভাবে খেজুর গাছ দেখা যেত। সেসব গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করত। ওই খেজুর গাছ থেকে বাংলার নবান্ন উৎসবের জন্য গাছিরা রস আহরণ করত। মানুষের মধ্যে অসচেতনতার কারণে মানুষ গাছ কাটলেও গাছ আর লাগায় না। অন্তত পরিবেশের ভারাসাম্য রক্ষার জন্যে হালেও প্রতিটি সড়কের পাশে ও খালি জায়গায় খেজুর গাছ লাগানো উচিত।