নড়াইল সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি। চাঁদাবাজি, লুটপাট, জোর করে জমিজমা দখল, গাছকাটা সহ নানান রকম সমস্যার জন্য বাঁশগ্রাম এলাকায় মানুষের জীবন- যাপন এখন হুমকির সম্মুখীন। বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত হচ্চে নানা রকম অপরাধ। এসব অপরাধ নির্মূলের জন্য বাশগ্রামের মিরাজ মোল্লা ও নাছির উদ্দীন রাজু নড়াইল পুলিশ সুপার ও সদর থানায় আলাদাভাবে ‍দুইটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ এবং এলাকার মানুষের নিকট কথা বলে জানা গেছে, বাঁশগ্রামের শহীদুল মোল্যা, নজির মোল্লা, আজিজার মোল্যা, অলিয়ার মোল্লা এবং জাহিদ মোল্যা পাচভাই। তার মধ্যে আজিজার মোল্যা আমেরিকা প্রবাসী। নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে ভাইদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দন্ধ- সংঘাত বেধেই আছে, নিজেদের সম্মানের কথা বিবেচনা করে ভাইয়েরা পারিবারিকভাবে বসে কথা বলে মিমাংশা করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে শহীদুল মোল্যা, আজিজার মোল্লা এবং নজির মোল্যা তাদের কথাই রাজি হয়ে তাদের কথা মেনে নেই। কিন্তু অপর দুই ভাই অলিয়ার মোল্যা ও জাহিদ মোল্লা মেনে নেন নাই এবং তার অপর ভাইদের জব্দ করতে এলাকার কয়েকজন নামকরা সন্ত্রাসীদের তার ভাইদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেন। সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত ওই  ভাইদের পরিবারের কাছে চাদাবাজি, সম্পত্তির দখল ও হুমকি-ধামকি সহ নানাভাবে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে তারা শান্তিতে বাড়ি থেকে বের হতে পারেনা এমনকি তাদের সন্তানেরা স্কুলে যাইতে পারেনা।
এছাড়াও গ্রামের কয়েকজন মান্যগন্য ব্যক্তিরা বলেন, মৃত কালা মোল্যার ছেলে বাচ্চু মোল্লা (৪৫), নান্নু মোল্লা (৪০), কুটিমিয়া বিশ্বাসের ছেলে মতিয়ার বিশ্বাস (৪৮), আকবর বিশ্বাস (৪০), ইপিয়ার বিশ্বাস (৩৫), ইকবাল বিশ্বাস (৫২), মৃত হামিদ মোল্যার ছেলে লাভলু মোল্যা (৪০), রিপন মোল্লা (৪৫), মৃত হাকিম মোল্যার ছেলে ইব্রাহিম মোল্লা (৫৫), আমজাদ মোল্যা (৫০), মৃত ইদ্রিস মোল্যার ছেলে আলমগীর মোল্যাসহ বেশ কয়েকজন মিলে এলাকায় শান্তি-শূঙ্খলা নষ্ট, মারামারি-গোলমাল করে আসছে। এরাই এলাকায় সন্ত্রাসী গ্রুপ তৈরি করছে। 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নান্নু মোল্যা, বাচ্চু মোল্যা, মতিয়ার বিশ্বাস, ইকবাল বিশ্বাসসহ অনেকেই ২০০১ সালের 1)১৪ জুলাই কলিমন বাঁশগ্রামের মোঃ রবিউল মোল্যা হত্যামামলার আসামী। নিম্ন আদালতে এদের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ হয় কিন্তু বর্তমানে উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে আছে। এছাড়াও অন্যদের বেশিরভাগই রহিমা এ্যাসিড মামলার আসামী জামিনে বেরিয়ে এসে তারাই এলাকাই এসব অপরাধমূলক কাজ কর্ম করছে।
নজির মোল্লার ছেলে নাছির উদ্দীন জানান, আমার ছোট ভাই বেনু মোল্যাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সেই ভয়ে সে এখন বাড়ি ছাড়া। আমাদের পরিবারের কেউ স্থানীয় বাজারে যেতে পারেনা এবং আমাদের ছেলে-মেয়েরা ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারেনা। আমরা শান্তিতে এলাকায় বসবাস করিতে চাই এজন্য থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। প্রশাসনের সাহায্য কামনা করছি।
এ বিষয়ে মতিয়ার বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমনিতেই আমাদের উপর হত্যা মামলা ঝুলে আছে। এরপরেওকি কেউ এসব গোলমাল, মারামারির সাথে থাকতে পারে বা সম্ভব কি? যারা আমাদের বিরুদ্ধ এসব অভিযোগ করে সবই মিথ্যা। তিনি আরো বলেন, আপনারাই খোজ নিয়ে দেখেন যে তাদের পরিবারের লোকজন কতটা খারাপ প্রকৃতির মানুষ। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শওকত কবীর বলেন, সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, বাঁশগ্রাম ইউনিয়নে বিট পুলিশ রয়েছে তাদের তথ্যমতে ওই এলাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে কোন পরিবার জিম্মি হয়ে আছে এমন কোনো ঘটনাই নেই। তিনি বলেন, এলাকায় শান্তি শূঙ্খলা বজায় আছে। আর আমরা সর্বদা জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছি।
পত্রিকা একাত্তর/ খালিদ হোসাইন