ধান উৎপাদন হয়েছে ১লাখ ৬ হাজার ৮৯ মেট্রিক টন। এতে কৃষকরা খড়ের আঁটি পেয়েছেন প্রায় ৫ কোটি ৯০ লাখ ১২৫০টি।
রাণীশংকৈল প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মদন কুমার রায় বলেন, উপজেলায় গরু ও মহিষ রয়েছে ১লাখ ৬৮৯ টি । প্রতিটি গরুকে গড়ে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ আঁটি খড় খাবার হিসেবে দিতে হয় এবং মহিষকে দিতে হয় ৯ থেকে ১০ আঁটি। বিশেষ করে দুধেল গাভির জন্য খড় খুবই উপকারী। এজন্য কৃষকরা বাজার থেকে কেনা গো-খাদ্যের চেয়ে ধানের খড়কে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
উপজেলার ধর্মগড় ভরনিয়া গ্রামের কৃষক প্রেমানন্দ রায় (৬০) বলেন, 'এ বছর ১২ বিঘা জমি থেকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার খড়ের আঁটি পেয়েছি। ৫টি গরুর জন্য ৩ হাজার আঁটি রেখে দিয়ে বাকি সাড়ে ২ হাজার আঁটি প্রতি পিচ ১২ টাকা দরে বিক্রি করেছি। খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা ধান চাষে লাভবান হচ্ছি।'
লেহেম্বা গ্রামের কৃষক শামসুল ইসলাম (৫২) বলেন, 'ধান চাষ করে তেমন লাভ না হলেও খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় খুশি। খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় ধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে।' 'এ বছর ৮ বিঘা জমির খড় বিক্রি করে পেয়েছি ৫০ হাজার টাকার মত। আমার কাছে এখন খড়ের কদর অনেক বেশি,'
রাতোর গ্রামের গরু পালনকারী মনোয়ার হোসেন (৪৯) বলেন, 'খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় হতাশ। বাজারে গো-খাদ্যের দাম অনেক বেশি। আমার ৭টি গরু আছে। ১টি দুধেল গাভি। প্রতিদিন ৩৫-৩৬টি আঁটি খড় লাগে।' তিনি আরও বলেন, 'আগে আশেপাশে খালি জমি ছিল। ঘাসের অভাব ছিল না। এখন জমি পতিত থাকে না। তাই ঘাসের জমির অভাব।'
কাশিপুর মাহারাজা গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম (৫২) বলেন, 'প্রায় বিঘা জমি থেকে ১ হাজার ৪০০টি খড়ের আঁটি পেয়েছি। ৮টি গরু আছে। তাই ৫ হাজার খড়ের আঁটি মজুদ রেখেছি। আগের চেয়ে গরু ও দুধের দামও বেড়েছে।'
রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, 'কৃষকরা এখন ধানের খড়ের প্রতি খুবই যত্নশীল হয়েছেন। অনেকে খড় বিক্রি করেই ধান চাষের খরচ তুলছেন। এখন তারা ধান চাষে আরও বেশি আগ্রহী হচ্ছেন।'
">
সর্বশেষ খবর:
পাথরঘাটা মুরগি বিক্রি বন্ধ জামালপুরে ট্রেনে কাটা পরে গৃহবধূর মৃত্যু বলিউড অভিনেতা বরুণ ধাওয়ানের জন্মদিন আজ স্বপ্নের সোনালী ফসলে সেঁজেছে মাঠ, হাসি কৃষকের মুখে সুন্দরগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে বোরধানের ক্ষতি নড়াইলে বিএনপির দু’গ্রুপে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী কুখ্যাত ডাকাত শাহীন ও জুয়েল গ্রেফতার বাবার কোলে শিশু হত্যার মূল আসামি সহ গ্রেফতার ৫ ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সমর্থনে সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গ আজ আওয়ামী যন্ত্রে পরিণত হয়েছে : ডা.শাহাদাত হোসেন প্রতিপক্ষের হামলায় বাবা-মা-ছেলে আহত গুরুদাসপুরে মাদকব্যবসার জের ধরে হত্যা, ২জন আটক উল্লাপাড়ায় বাসচাপায় অটোরিকশা যাত্রী নিহত ১ জবিতে র‍্যাগিং প্রমাণিত হলে ছাত্রত্ব বাতিল কোম্পানীগঞ্জ মুছাপুরে ভোগ দখলে আশ্রয় কেন্দ্র ইটভাটায় পুড়িয়ে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন, ২ জন পলাতক ইটভাটা চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা, ৫ জনের যাবজ্জীবন ৫’শ টাকার জন্য রাজু কে হত্যা দায়িত্বরত ট্রাফিক, টহল পুলিশদের ইফতার পাঠালেন মাশরাফী সাভারে খেলার মাঠে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

রাণীশংকৈলে ধানের চেয়ে খড়ের কদর বেশি!

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

৩১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৩ years আগে, : 0

রাণীশংকৈলে ধানের চেয়ে খড়ের কদর বেশি!
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে খড়ের দাম বাড়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। তারা জানিয়েছেন, এককেজি ওজনের একটি খড়ের আঁটি ১২ থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তারা আরও জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ধান চাষে খরচ হয় ৮ হাজার টাকা থেকে ৯ হাজার টাকা। সেই জমি থেকে খড় পাওয়া যায় ৪৫০ থেকে ৫শ' আঁটি। গবাদি পশুর পালন বেড়ে যাওয়ায় খড়ের দামও বেড়েছে।
উপজেলার ভবানন্দপুর গ্রামের কৃষক ইয়াকুব আলী (৫৫) বলেন, এখন 'ধানের চেয়ে এখন খড়ের কদর বেশি।' তিনি আরও বলেন, 'কয়েক বছর আগে অনেককে খড় বিনামূল্যে দিয়েছিলাম। এখন কেউ খড় চাইলে কষ্ট হয়। ধান দিতে রাজি কিন্তু খড় দিতে রাজি না। খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা ধান চাষে লাভবান হচ্ছি।'
রাণীশংকৈল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, উপজেলায় চলতি মৌসুমে এবার আমনের ২১ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। কৃষকেরা ৫ হাজার ১৪৫ হেক্টর জমিতে আগাম হাইব্রিড জাতের আমনেরও চাষ করেছেন। 
ধান উৎপাদন হয়েছে ১লাখ ৬ হাজার ৮৯ মেট্রিক টন। এতে কৃষকরা খড়ের আঁটি পেয়েছেন প্রায় ৫ কোটি ৯০ লাখ ১২৫০টি।
রাণীশংকৈল প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মদন কুমার রায় বলেন, উপজেলায় গরু ও মহিষ রয়েছে ১লাখ ৬৮৯ টি । প্রতিটি গরুকে গড়ে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ আঁটি খড় খাবার হিসেবে দিতে হয় এবং মহিষকে দিতে হয় ৯ থেকে ১০ আঁটি। বিশেষ করে দুধেল গাভির জন্য খড় খুবই উপকারী। এজন্য কৃষকরা বাজার থেকে কেনা গো-খাদ্যের চেয়ে ধানের খড়কে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
উপজেলার ধর্মগড় ভরনিয়া গ্রামের কৃষক প্রেমানন্দ রায় (৬০) বলেন, 'এ বছর ১২ বিঘা জমি থেকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার খড়ের আঁটি পেয়েছি। ৫টি গরুর জন্য ৩ হাজার আঁটি রেখে দিয়ে বাকি সাড়ে ২ হাজার আঁটি প্রতি পিচ ১২ টাকা দরে বিক্রি করেছি। খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা ধান চাষে লাভবান হচ্ছি।'
লেহেম্বা গ্রামের কৃষক শামসুল ইসলাম (৫২) বলেন, 'ধান চাষ করে তেমন লাভ না হলেও খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় খুশি। খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় ধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে।' 'এ বছর ৮ বিঘা জমির খড় বিক্রি করে পেয়েছি ৫০ হাজার টাকার মত। আমার কাছে এখন খড়ের কদর অনেক বেশি,'
রাতোর গ্রামের গরু পালনকারী মনোয়ার হোসেন (৪৯) বলেন, 'খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় হতাশ। বাজারে গো-খাদ্যের দাম অনেক বেশি। আমার ৭টি গরু আছে। ১টি দুধেল গাভি। প্রতিদিন ৩৫-৩৬টি আঁটি খড় লাগে।' তিনি আরও বলেন, 'আগে আশেপাশে খালি জমি ছিল। ঘাসের অভাব ছিল না। এখন জমি পতিত থাকে না। তাই ঘাসের জমির অভাব।'
কাশিপুর মাহারাজা গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম (৫২) বলেন, 'প্রায় বিঘা জমি থেকে ১ হাজার ৪০০টি খড়ের আঁটি পেয়েছি। ৮টি গরু আছে। তাই ৫ হাজার খড়ের আঁটি মজুদ রেখেছি। আগের চেয়ে গরু ও দুধের দামও বেড়েছে।'
রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, 'কৃষকরা এখন ধানের খড়ের প্রতি খুবই যত্নশীল হয়েছেন। অনেকে খড় বিক্রি করেই ধান চাষের খরচ তুলছেন। এখন তারা ধান চাষে আরও বেশি আগ্রহী হচ্ছেন।'