বানিজ্যিক রুপ পাচ্ছে পটুয়াখালীর গোল পাতার গুড়। সুমিষ্ট ও ভেজাল মুক্ত হওয়ায় কুয়াকাটাগামী পর্যটকসহ অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন এ গুড় কিনতে। যদিও গুড় উৎপাদনের সাথে জড়িতরা বলছেন দিন দিন বাগান সংকুচিত হওয়ায় উৎপাদন টিকিয়ে রাখা কষ্টকর হচ্ছে। সরকারিভাবে আরো বাগান সৃষ্টি করে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা গেলে দেশের গন্ডি পেরিয়ে এ গুড় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সক্ষম বলে দাবী স্থানীয়দের।
পিঠা-পুলি বানাতে আখ কিংবা খেজুর গুড়ের কোন জুড়ি নেই। কিন্তু এবার সেই জায়গা দখল করে নিচ্ছে অযত্ন অবহেলায় বেড়ে ওঠা গোলপাতার গুড়। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পাখিমারা গ্রামে বানিজ্যিক ভাবে উৎপাদন হচ্ছে এ গুড়। নোনা পানি গাছ হিসেবে গোল পাতার পরিচয় থাকলেও দীর্ঘকাল থেকে এ অঞ্চলের বাসিন্দারা গোলগাছ থেকে রস সংগ্রহ করে স্বল্প পরিসরে গুড় তৈরী করতেন। কিন্তু বর্তমানে চাহিদা বাড়ায় এখন বানিজ্যিকভাবে গুড় করছেন তারা। তবে বাগান সংকুচিত হওয়া এবং গুড়ের স্বল্প মুল্যের কারনে গুড় উৎপাদন টিকিয়ে রাখা কষ্টকর হচ্ছেন বলে দাবী উৎপাদনের সাথে জড়িতদের।
পটুয়াখালী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রি,জুনিয়র সহ-সভাপতি,মো.মিজানুর রহমান মনির খান,জানান, স্থানীয় গুড় উৎপাদনকারী ও পর্যটক।
গোলবাগান বেঁচে থাকলেই এ শিল্প বেঁচে থাকবে। আগামী দিনে গোল চাষীদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে গোলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানীর পদক্ষেপ গ্রহন করার কথা জানালেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা,উপকূলীয় বন বিভাগ, পটুয়াখালী, আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, স্থানীয় গোল গুড় উৎপাদনকারীদের কথা বিবেচনা করে উপকূলীয় বন বিভাগ আগামী অর্থ বছরে নতুন নতুন গোলবাগান তৈরীর পরিকল্পনা চলতেছে।
বাবুল মিস্ত্রী জানান, আখ কিংবা খেজুর গুড়ের থেকে ঘন ও সুস্বাদু গোলের গুড় ইতিমধ্যে নজর কেড়েছে পর্যটকসহ স্থানীয় ক্রেতাদের। সরকারি পৃষ্ঠপোষকাতার মাধ্যমে এ গুড়ের উৎপান বৃদ্ধি করে শুধুমাত্র দেশে নয় বিদেশেও রপ্তানী সম্ভব ।
পত্রিকা একাত্তর / মিজানুর রহমান অপু
কলাপাড়ায় বানিজ্যিক রুপ পাচ্ছে গোলপাতার গুড়
১ মার্চ, ২০২২, ৩ years আগে, : 0
