তার বয়স তখন ১৮ কিংবা ২০। একটি ইঁট ভাটায় কাজ করে মা-বাবাকে নিয়ে চলছিল তার জীবন। ভাগ্যের নির্মম পরিনতি! হঠাৎ বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে একটি পা প্রায় অচল হয়ে যায় তার।
প্রাথমিকভাবে নানান চিকিৎসা শেষে কোনো উন্নতি না হলে পরিশেষে সম্পূর্ণ পা-টি কেটেই পেলতে হয় তার। এরপর একটি পা নিয়েই পূণরায় শুরু হয় তার আগামীর পথ চলা...। বিয়ে-শাদি শেষে মা-বাবা, পরিবার-পরিজন নিয়ে শুরু করে একটি সুখের সংসার। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিনতি! এ যেনো মরার ওপর খাড়ার ঘা! অচল হয়ে যায় ভালো থাকা পা-টি। ঠিক পূর্বেরই ন্যায় হারাতে হয় বাকী পা-টিও। এরপর নিঃস্ব হয়ে ভিক্ষা করা ছাড়া যেনো কিছুই করার ছিলনা তার।
বলছি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ৭নং ওয়ার্ডের সৈয়দ কেরানী বাড়ীর পঙ্গুত্ব বরণ করা অসহায় মোঃ ইব্রাহীমের কথা। দু'টি পা হারিয়ে প্রায় ৩০ বছর এভাবে জীবনযাপন করলেও যেনো দেখার নেই কেউ। এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণের মাধ্যমেও পাচ্ছে না সরকারের দেয়া কোনো পঙ্গুত্ব ভাতা। তাই তারও যেনো ভিক্ষা করা ছাড়া কিছুই করার নেই।
পত্রিকা একাত্তর/ বাশার
৩০ বছর পূর্বে দু'টি পা হারিয়ে ভিক্ষা করেই চলছে ইবরাহীম
২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ৩ years আগে, : 0
