বরগুনার আমতলীতে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে প্রেমিক। আত্মহত্যা করা ঐ প্রেমিকের নাম মোঃ পারভেজ এবং প্রেমিকার নাম সাদিয়া। তাদের দু'জনের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায়। অন্যদিকে পারভেজ 'পপুলার' নামক একটি ঔষধ কোম্পানীতে কর্মরত ছিল।

জানা গেছে, মৃত ঐ প্রেমিক গত পাঁচ বছর ধরে একই জেলার তরুণী সাদিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ ছিল। চাকুরী হলেই বিয়ে করবে এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রেমিক পারভেজ তার প্রেমিকাকে। এদিকে কিছুদিন আগে প্রেমিকার এনটিআরসি'র মাধ্যমে একটি কলেজে চাকুরী হয়। চাকুরী হওয়ার পরই পারভেজ তার প্রেমিকা সাদিয়াকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু সাদিয়া পারভেজকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে মান অভিমান চলে আসছিল। আর এই মান অভিমানের জের ধরেই শনিবার রাতে পারভেজ আমতলী পৌর শহরের একটি ভাড়া বাসার সিলিং ফ্যানে রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। 

খবর পেয়ে রবিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পারভেজের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ তার মরদেহ বরগুনা মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় আমতলী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলাও হয়েছে।

পারভেজের বাবা ফারুক হোসেন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, প্রেমের ফাঁদে পরে আমার ছেলেকে জীবন দিতে হলো। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য তার মরদেহ বরগুনা মর্গে প্রেরন করা করেছি।
পত্রিকা একাত্তর/ আবু সালেহ মুসা